গর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুরা শুনে শুনে শিখতে পারে নিজের মাতৃভাষা!

গর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুরা শুনে শুনে শিখতে পারে নিজের মাতৃভাষা!

May 1, 2024 - 7:40 AM
 0

আমাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে শিশুরা নিজ মাতৃভাষা ঠিক কিভাবে আয়ত্ত করেছে, এই নিয়ে নানান ধরনের মতামতও আছে, এমনকি বিজ্ঞানীরাও দীর্ঘকাল ধরে এই বিষয় জানার যথাসম্ভব চেষ্টা  করেছেন; মানুষের মস্তিষ্ক কি ভাষার জন্য নির্দিষ্ট একটি সহজাত শেখার পদ্ধতিতে সজ্জিত নাকি  শিশুরা কেবল শুনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট  মাতৃভাষা দ্রুত আয়ত্ত করতে শিখেছে? তবে এর সুন্দর উত্তর আছে।

ইতালির ইউনিভার্সিটি অফ পাডুয়ার  গবেষকদের গবেষনা থেকে জানা যায় যে, গর্ভে থাকাবস্থায় শিশু যে কথার তাল, ছন্দ এবং সুর শুনতে পায় তা তাদের মাতৃভাষাকে আরও সহজে চিনতে এবং শিখতে সাহায্য করে। যেহেতু মায়ের শরীর গর্ভে অনুভূত বক্তৃতা সংকেতের উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিগুলিকে ফিল্টার করে। তাই ভ্রূণ পৃথক শব্দ শুনতে পারে না, শুধুমাত্র কথার সুর এবং ছন্দ শুনতে পায়।

গবেষকরা ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) ব্যবহার করে নবজাতকদের স্নায়ুবিক কার্যকলাপ পরিমাপ করেছেন যে কীভাবে তাদের দ্রুত ভাষা অর্জনের অসাধারণ ক্ষমতা অর্জিত হয়।
আমরা জানি গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে ভ্রূণ শুনতে পায় কারন গর্ভাবস্থার ২৪ তম থেকে ২৮ তম সপ্তাহ পর্যন্ত শ্রবণশক্তি কার্যকর হয়। এসময়ে মা যা যা বলেন এবং অন্যান্য লোকজনের সাথে যেসব কথা বলে থাকেন তা জরায়ুতে শিশুর মধ্যে সঞ্চারিত হয়।

গবেষণায় ১-৫ দিনের বয়সী ৩৩ টি নবজাতক ফ্রেঞ্চ-ভাষী মায়েদের সাথে জড়িত ছিলো। শিশুদের গোল্ডিলক্স এবং থ্রি বিয়ার গল্পের অডিও ফরাসী, ইংরেজি এবং স্প্যানিশ ভাষায় শোনানো হয়েছিল।

শিশুর ক্ষেত্রে, গর্ভাবস্থার প্রায় সাত মাস পরে বাহ্যিক শব্দ শোনা যায়।  এটি থেকেই প্রতীয়মান হয় যে আমরা ইতিমধ্যেই গর্ভে থাকাকালীন  যে ভাষা শুনেছি তা চিনতে এবং শোষণ করতে সক্ষম হয়েছি। পূর্ববর্তী গবেষণা ফলাফলস্বরূপ গবেষণা থেকে আরও জানা যায় যে, নবজাতকরা গর্ভে থাকাকালীন তাদের কানে বাজানো সঙ্গীতকে চিনতে পারে। এমনকি তারা তাদের মায়ের কণ্ঠস্বরও চিনতে পারে। কিন্তু গবেষকদের কাছে আশ্চর্যজনক ছিলো ভাষা চেনা! 
গবেষকরা পরামর্শ দেন যে ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে

যে আমরা আগে গর্ভে যে সঙ্গীত শুনেছি তা আমরা চিনতে সক্ষম। পরবর্তী পদক্ষেপ হতে পারে কিভাবে অন্যান্য ধরনের শব্দ এবং ভাষা নবজাতকের মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করতে পারে।

ব্লগটি ScienceBee ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া।